সোমবার বিকালে পুলিশ মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
আদালতকে ডাকাত ইউনুছ জানায়, তার সহযোগী ডাকাত মাসুমকে সম্প্রতি গলাকেটে হত্যার করে ভেচকি গ্রামে ধানক্ষেতের মাঠে পুতে রাখে।
থানা পুলিশ গত ১৯ জানুয়ারি ওই মাঠ থেকে মাসুমের গলিত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় স্থানীয় চৌকিদার বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত মাসুম পটুয়াখালী জেলার মহিপুর উপজেলার বিনয়পুর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে। সে একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি ছিল।
মঠবাড়িয়া থানার এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, প্রযুক্তি ব্যবহার করে মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামের নেতৃত্বে বামনা থানা পুলিশের সহযোগিতায় রোববার রাতে বামনা থেকে ডাকাত ইউনুচকে গ্রেফতার করা হয়। ইউনুছ উপজেলার দক্ষিণ ভেচকি গ্রামের মৃত মোকছেদ আলী খার ছেলে। মঠবাড়িযা থানার ওসি মাসুদুজ্জামান জানান, মাসুমকে জবাই করে হত্যা, একাধিক ডাকাতিসহ নানা অপরাধের কথা স্বীকার করে গ্রেফতারকৃত ইউনুচ।
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি রাতে ডাকাতির লুট করা মালামাল ভাগাভাগি নিয়ে মাসুমকে হত্যা করা হয়। এ সময় অপর ডাকাত ছগীর মোল্লাকে (৪৮) গুলি করা হয়। ছগীরকে গত ১৫ জানুয়ারি উপজেলার ভেচকি গ্রাম থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পুলিশ গ্রেফতার করে। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।